Take A Boat
Take A Boat
Tanguar Haor

নয়কুড়ি কান্দার ছয়কুড়ি বিল | টাঙ্গুয়ার হাওরের অজানা রহস্য

10/07/2025

বাংলাদেশের অজানা স্বর্গ

আপনি কি কখনো এমন একটি জায়গার কথা শুনেছেন, যেখানে পানি আর সবুজের সমারোহ আপনাকে যেন অন্য এক জগতে নিয়ে যায়? যেখানে পাখির কলকাকলি আপনার মনকে শান্ত করে, আর সূর্যোদয়-সূর্যাস্ত আপনাকে মুগ্ধ করে? হ্যাঁ, আমরা কথা বলছি টাঙ্গুয়ার হাওর সম্পর্কে—বাংলাদেশের সুনামগঞ্জের এক অপরূপ জলাভূমি, যা স্থানীয়দের কাছে পরিচিত "নয়কুড়ি কান্দার ছয়কুড়ি বিল" নামে।

এই নামটি শুধু একটি নাম নয়—এটি একটি রহস্য, একটি ইতিহাস, এবং এক অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের গল্প বহন করে। এই ব্লগে, আমরা আপনাকে নিয়ে যাব টাঙ্গুয়ার হাওরের গভীরে, জানাবো কেন এটি এই নাম পেয়েছে, এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য কেমন, এবং কীভাবে আপনি এই স্বর্গীয় জায়গাটি ভ্রমণ করতে পারেন!


কেন "নয়কুড়ি কান্দার ছয়কুড়ি বিল"? নামের রহস্য উন্মোচন

টাঙ্গুয়ার হাওরের নামের পিছনে রয়েছে একটি গাণিতিক এবং ভৌগোলিক রহস্য। স্থানীয়রা এই হাওরকে "নয়কুড়ি কান্দার ছয়কুড়ি বিল" বলে ডাকে, যার অর্থ হলো:

  • নয়কুড়ি কান্দা = ১৯টি কান্দা (বড় বিল বা জলাশয়)
  • ছয়কুড়ি বিল = ৬০টি বিল (ছোট জলাশয়)

এই নামটি এসেছে এর বিশালতা এবং জটিল গঠন থেকে। টাঙ্গুয়ার হাওর ১৮টি মৌজার ৫১টি জলমহাল এবং ১২০টি বিল নিয়ে গঠিত, যা এটিকে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ এবং সবচেয়ে জটিল জলাভূমি করে তুলেছে।

একটি জীবন্ত বাস্তুতন্ত্র

এই বিশাল জলাভূমি শুধু একটি জায়গা নয়—এটি একটি জীবন্ত, শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়া বাস্তুতন্ত্র, যেখানে:

  • ২০০+ প্রজাতির পাখি বাস করে, যার মধ্যে অনেক অভিবাসী পাখি
  • বিভিন্ন প্রজাতির মাছ পাওয়া যায়, যা স্থানীয়দের জীবিকার প্রধান উৎস
  • বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদ জন্মায়, যা হাওরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে আরো বাড়িয়ে তোলে

টাঙ্গুয়ার হাওরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য: বর্ষা ও শুকনো মৌসুমের রূপান্তর

টাঙ্গুয়ার হাওরের সৌন্দর্য মৌসুমভেদে পরিবর্তিত হয়, যা এটিকে আরো রহস্যময় এবং আকর্ষণীয় করে তোলে।

বর্ষাকাল: সবুজের সমুদ্র

বর্ষাকালে, টাঙ্গুয়ার হাওর যেন একটি বিশাল সবুজ সমুদ্রে পরিণত হয়, যেখানে:

  • পানি ছড়িয়ে পড়ে চারপাশে, সবকিছুকে গ্রাস করে
  • নৌকায় চড়ে আপনি ঘুরতে পারবেন এই বিশাল জলরাশিতে
  • পাখিরা আসে দূর-দূরান্ত থেকে, এই হাওরকে তাদের বাসস্থান বানায়

শুকনো মৌসুম: পাখি ও জীবজন্তুর স্বর্গরাজ্য

শুকনো মৌসুমে, যখন পানি কমে যায়, তখন টাঙ্গুয়ার হাওর পরিণত হয় একটি বিশাল চরভূমিতে, যেখানে:

  • পাখিরা আসে খাদ্যের সন্ধানে
  • স্থানীয়রা মাছ ধরে, যা তাদের জীবিকার প্রধান উৎস
  • পর্যটকরা আসে এই অপরূপ দৃশ্য দেখতে

কীভাবে ভ্রমণ করবেন? টাঙ্গুয়ার হাওর ঘুরে আসার গাইড

টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণ করা এখন খুবই সহজ Take A Boat-এর মাধ্যমে। শুধু এই ধাপগুলো অনুসরণ করুন:

ধাপ ১: সঠিক সময় বেছে নিন

টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণের সেরা সময় হলো মে থেকে অক্টোবর—যখন আবহাওয়া ভালো থাকে এবং পাখি পর্যবেক্ষণের জন্য আদর্শ।

ধাপ ২: আপনার পছন্দের প্যাকেজ বেছে নিন

আমাদের কাছে বিভিন্ন বাজেটের জন্য বিভিন্ন প্যাকেজ আছে:

  • বাজেট-ফ্রেন্ডলি (৩,০০০–৫,০০০ টাকা) – বেসিক সুবিধা, কিন্তু আরামদায়ক
  • মিড-রেঞ্জ (৬,০০০–১০,০০০ টাকা) – ভালো খাবার, গাইডেড ট্যুর, এবং আরামদায়ক কেবিন
  • লাক্সারি (১২,০০০+ টাকা) – প্রাইভেট কেবিন, প্রিমিয়াম খাবার, এবং এক্সক্লুসিভ সার্ভিস

ধাপ ৩: বুকিং কনফার্ম করুন

নিরাপদে অনলাইন পেমেন্ট করুন, এবং আপনার বুকিং কনফার্ম! আপনি একটি কনফার্মেশন ইমেইল পাবেন সব বিস্তারিত নিয়ে।


প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন (FAQ)

১. টাঙ্গুয়ার হাওর কোথায় অবস্থিত?

সুনামগঞ্জ জেলায়, বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে।

২. কেন এটি "নয়কুড়ি কান্দার ছয়কুড়ি বিল" নামে পরিচিত?

কারণ এটি ১৯টি কান্দা এবং ৬০টি বিল নিয়ে গঠিত, যা এর বিশালতা এবং জটিল গঠনের পরিচয় বহন করে।

৩. সেরা ভ্রমণের সময় কখন?

মে থেকে নভেম্বর—যখন আবহাওয়া ভালো থাকে এবং পাখি পর্যবেক্ষণের জন্য আদর্শ।

৪. কীভাবে বুক করব?

খুব সহজ! Take A Boat ভিজিট করুন, আপনার পছন্দের প্যাকেজ বেছে নিন, এবং মিনিটের মধ্যে বুকিং সম্পন্ন করুন!


শেষ কথা: আপনার স্বপ্নের ভ্রমণ এখন হাতের মুঠোয়!

টাঙ্গুয়ার হাওর, বা "নয়কুড়ি কান্দার ছয়কুড়ি বিল", শুধু একটি জায়গা নয়—এটি একটি অভিজ্ঞতা, যা আপনার সাথে চিরকাল থাকবে। আর Take A Boat-এর মাধ্যমে, আপনার স্বপ্নের ভ্রমণ বুক করা এখন খুবই সহজ!

তাহলে আর দেরি কেন? যদি আপনি শান্তির খোঁজে থাকেন, একটি অ্যাডভেঞ্চার চান, বা কিছু অনন্য দেখতে চান, তাহলে এটাই আপনার ভ্রমণের সময়।

 

আজই বুকিং করুন Take A Boat-এ এবং আপনার অমূল্য ভ্রমণ শুরু করুন!

image

Shafat Mahmud Khan

Dhaka

Your Travel Journey Starts Here

Sign up and we'll send the best deals to you